![]() |
বাঁশখালীতে পান চুরিকে কেন্দ্র করে নির্দোষ শহিদ উল্লাহর মানহানির অভিযোগ! |
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুইছড়িতে পান চুরির ঘটনায় একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে চোর অপবাদ দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তীব্র বিতর্ক ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর রাত ১১:৩০ মিনিটে স্থানীয়রা আনিছ নামের একজনকে পান চুরির দায়ে আটক করেন। আনিছের স্বীকারোক্তিতে মান্নান নামে আরেক ব্যক্তির নাম উঠে আসে। এরপর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহিদ উল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে বিচার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহিদ উল্লাহর ছোট ভাই চুরির ঘটনায় আসল পান চোর আনিছ ও মান্নান এবং তাদের পরিবারকে গালিগালাজ করেন। এর জেরে আনিছ ও মান্নান পান চর মিলে শহিদ উল্লাহকে পান চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। শহিদ উল্লাহ স্থানীয় মসজিদে গিয়ে কোরআন শরিফ মাথায় নিয়ে শপথ করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
পান সমিতির সভাপতি জানান, আনিছ, মান্নান, ও শহিদ উল্লাহর বিরুদ্ধে দুই চোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি তাদের পান চাষ, বরজে কাজ, এবং পান সমিতির সদস্য হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কেউ তাদের বরজে কাজ করতে দিলে সংশ্লিষ্ট বরজের মালিককে ৫ হাজর টাকা জরিমানা করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। সভাপতি জানান, এ সিদ্ধান্ত মূলত এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে, তবে পরবর্তী সময়ে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে।
শহিদ উল্লাহর পরিবার এ ঘটনাকে ষড়যন্ত্র এবং অন্যায় বিচার বলে দাবি করেছে। তারা বাঁশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ন্যায়বিচারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। কেউ পান সমিতির কঠোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেও অনেকে এটিকে অন্যায় বলে মনে করছেন।
ঘটনাটি বর্তমানে প্রশাসনের নজরে রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করা ও নিরপরাধ ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। স্থানীয়দের মতে, প্রশাসনের সঠিক হস্তক্ষেপই এই উত্তেজনা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আরও জানতে..
0 Comments