![]() |
মাহবুব কবির মিলনের চ্যালেঞ্জ, বেসরকারি ট্রেন চুক্তির তথ্য প্রকাশ করুন! |
রেলের বেসরকারি ট্রেন চুক্তিতে বিপুল লোকসানঃ কোথায় যাচ্ছে জনগণের অর্থ?
বাংলাদেশ রেলওয়ের বেসরকারি চুক্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতার বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বিশিষ্ট প্রশাসক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ মাহবুব কবির মিলন। তিনি জানান, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রেলের ৩৭টি ট্রেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে। এই চুক্তির অধীনে বেসরকারি অপারেটররা রেলওয়েকে নগণ্য ভাড়া প্রদান করলেও প্রকৃত ব্যয়ের পুরো অংশভার জনগণের কাঁধে চাপছে।
রেল খাতে জনগণের বিপুল অর্থ অপচয়
মাহবুব কবির মিলন অভিযোগ করেছেন, এসব বেসরকারি ট্রেনের জ্বালানি খরচ, কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য ব্যয়ভার বহন করতে হচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষকে। এমনকি, যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে সেগুলোর মেরামত বা প্রতিস্থাপনেও ব্যয় হচ্ছে সরকারি অর্থ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “কোনো ক্ষমতা আছে নাকি? একটু হিসাব বের করুন তো এই ৩৭টি ট্রেনে আয়-ব্যয় বাদ দিয়ে নেট লোকসান কত হয়। প্রতি বছর জনগণের কত টাকা শ্রাদ্ধ হচ্ছে?”
অস্বচ্ছ চুক্তি ও রিনিউয়ের প্রশ্ন
এ বিষয়ে মিলন আরও বলেন, এই ৩৭টি ট্রেন পরিচালনার জন্য যেসব চুক্তি হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা আছে। তিনি উল্লেখ করেন, “বর্তমানে যারা চালাচ্ছেন, তাদেরও চ্যালেঞ্জ দিলাম। তথ্য প্রকাশ করুন দেখি। খোঁজ নিন তো এদের চুক্তি কিভাবে রিনিউ হয়!”
বিগত চুক্তিগুলোতে কীভাবে শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে এবং রিনিউ প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম ঘটছে কিনা, সে বিষয়েও তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। মিলনের মতে, জনগণের বিপুল অর্থ এভাবে অপচয় হওয়ার পরও চুক্তির স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
জনগণের দাবিঃ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
রেলের বেসরকারি ট্রেন পরিচালনা নিয়ে এ ধরনের অভিযোগ ওঠায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দাবি তুলছেন নাগরিক সমাজ ও বিশেষজ্ঞরা। রেল খাতে দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতার অবসান ঘটাতে সুষ্ঠু তদন্ত ও তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়েছে।
জনগণ জানতে চায়, এসব ট্রেন প্রকৃতপক্ষে কতটা লাভ বা লোকসান করছে এবং কেন রেলওয়ের অর্থ এভাবে অপচয় করা হচ্ছে। যদি বেসরকারি পরিচালনার মডেল ব্যর্থ হয়ে থাকে, তাহলে কেন তা সংশোধন করা হচ্ছে না বা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
শেষ কথাঃ মাহবুব কবির মিলনের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, রেলের বেসরকারি পরিচালনায় বিপুল পরিমাণ জনগণের অর্থ অপচয় হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, রেল কর্তৃপক্ষ এই চ্যালেঞ্জের জবাব কীভাবে দেয় এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ করে কি না। জনগণের করের টাকার সঠিক ব্যবহারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠছে। আরও জানতে ক্লিক করুন..
0 Comments