মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের দুর্ভোগ চরমে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি
![]() |
মধ্যবিত্তসহ গরিবদের আহাজারি! |
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত এবং গরিব শ্রেণির মানুষদের জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে, ফলে তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। একদিকে আয়ের সীমাবদ্ধতা, অন্যদিকে বাজারে পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি—এই দুই চাপে জর্জরিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বাজার করতে আসা এক মধ্যবয়সী নারী আক্ষেপ করে বলেন, "আগে ৫০০ টাকায় যা বাজার হতো, এখন তা ১০০০ টাকায়ও সম্ভব নয়। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের এই অসমতা মেনে নিতে পারছি না।"
মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এই পরিস্থিতি যেন আরও অসহনীয়। বাড়ির খরচ, সন্তানদের পড়ালেখা, চিকিৎসা—সব কিছু মিলিয়ে তাদের টানাটানির জীবনযাপন হচ্ছে প্রতিদিন। শুধু খাদ্যদ্রব্য নয়, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং অন্যান্য সেবার মূল্যবৃদ্ধিও তাদের সংকটে ফেলেছে। অনেকেই ঋণ নিয়ে চলছেন, আবার কেউ কেউ প্রয়োজনীয় খরচ কাটছাঁট করে জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
গরিব ও নিম্নবিত্তদের অবস্থা আরও শোচনীয়। বিশেষ করে দৈনিক মজুরিতে কাজ করা মানুষেরা প্রতিদিনের খাদ্যের ব্যবস্থা করতেই হিমশিম খাচ্ছেন। এক রিকশাচালক বলেন, "দিন শেষে যা পাই, তা দিয়ে সংসার চালানোই কঠিন। খাবারের দাম এত বেড়েছে, আর পকেটে টাকা নাই।"
বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে কিছু নীতি গ্রহণ করা হলেও, তা এখনো যথেষ্ট কার্যকর হয়নি বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
সাধারণ মানুষ এখন সরকারের কাছে আশু সমাধান এবং বাজার নিয়ন্ত্রণের কার্যকর পদক্ষেপ চায়, যেন তাদের এই চরম দুরবস্থা থেকে মুক্তি মেলে।
0 Comments