![]() |
হাইতিতে জাতিসংঘের হেলিকপ্টারে গুলি |
হাইতিতে জাতিসংঘের হেলিকপ্টারে সশস্ত্র গোষ্ঠীর গুলি, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
হাইতির একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী জাতিসংঘের একটি হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গত মঙ্গলবার গুলি চালিয়েছে, ফলে হেলিকপ্টারটি বাধ্যতামূলক জরুরি অবতরণ করতে হয়। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) পরিচালিত ওই হেলিকপ্টারে ছিলেন ৩ জন কর্মী ও ১৫ জন যাত্রী, তবে গুলিতে তাঁরা কেউ আহত হননি। অবতরণের পর তাঁদের নিরাপদে হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে সরিয়ে নেওয়া হয়।
![]() |
হাইতি পরিস্থিতি |
সংবাদ সংস্থা এপি ও মার্কিন একটি গণমাধ্যম জানায়, হাইতিতে সহিংসতা কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমবর্ধমান। দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে, যা সরকার ও সাধারণ মানুষের জন্য বড় বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে জাতিসংঘের মাধ্যমে দূরবর্তী অঞ্চলে খাদ্য ও ত্রাণ পাঠানো ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।
![]() |
হাইতিতে জাতিসংঘ |
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, হেলিকপ্টারটি জাতিসংঘের WFP কর্তৃক পরিচালিত হলেও এই আক্রমণের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে, বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে এ ধরনের ঘটনা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ক্ষমতা জাহিরের প্রবণতা বাড়িয়ে দেবে, যা স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে।
হাইতির বর্তমান সংকট
২০২১ সাল থেকে হাইতিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতার মাত্রা বাড়ছে। রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সসহ আশপাশের অনেক এলাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে রাজধানীর পূর্বাঞ্চলে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী কয়েক ডজন বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়, এতে অন্তত ৭০ জন নিহত হন—যা সাম্প্রতিক সময়ে হাইতিতে সংঘটিত অন্যতম বড় সহিংসতার ঘটনা। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানায়, এই সহিংসতার ফলে শুধু গত সপ্তাহেই ১০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন, এবং সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৭ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
![]() |
হাইতির অবস্থা খারাপ |
হাইতির সংকট প্রতিদিনই ঘনীভূত হচ্ছে, যার ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার কার্যক্রম কঠিন হয়ে পড়েছে।
0 Comments