বাজারে ডিমের দাম ও সরবরাহ ঠিক রাখতে নতুন পদক্ষেপ
![]() |
বাজারে ডিমের দাম ও সরবরাহ ঠিক রাখতে নতুন পদক্ষেপ! |
রাজধানীতে ডিমের সরবরাহ বাড়িয়ে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে ডিম উৎপাদকরা সরকার নির্ধারিত দামে সরাসরি পাইকারি আড়তগুলোতে ডিম সরবরাহ করবে, যেখানে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। ফলে পাইকারি ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ডিম বিক্রি করবেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ডিমের দাম ও সরবরাহ নিয়ে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় ডিমের উৎপাদক, পাইকারি বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন। বাজারে ডিমের দাম বাড়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ডিমের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১০.৫৮ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ১১.০১ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১.৮৭ টাকা (ডজনপ্রতি ১৪২.৪৪ টাকা) হওয়া উচিত। কিন্তু বাজারে এর চেয়ে অনেক বেশি দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে। আজ বিভিন্ন বাজারে ডজনপ্রতি ডিমের দাম ১৮০–১৯০ টাকার মধ্যে ছিল।
তেজগাঁওয়ের ডিমের বড় পাইকারি আড়তে গত দুই দিন ধরে ডিম বিক্রি বন্ধ ছিল। তবে ভোক্তা অধিদপ্তরে আজকের বৈঠকের পর আবার ডিম বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আড়তদারেরা।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, উৎপাদন থেকে আড়ত পর্যন্ত ডিম একাধিক হাত ঘুরে আসায় দাম বেড়ে যায়। ফলে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম কেনা বা বিক্রি করা সম্ভব হয়নি, আর এ কারণেই তারা জরিমানা গুনতে বাধ্য হয়েছেন। তাই দুই দিন তারা ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছিলেন।
বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলীম আক্তার খান জানান, মধ্যস্বত্বভোগীর কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উৎপাদকরা সরাসরি পাইকারি আড়তে ডিম সরবরাহ করবে এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে যৌক্তিক মূল্যে ডিম বিক্রি করবেন। এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের ভূমিকা কমে আসবে এবং ক্রেতারা কম দামে ডিম কিনতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, নতুন এই পদ্ধতিতে দুই সপ্তাহ ডিম বিক্রির কার্যক্রম চলবে এবং পর্যালোচনা করা হবে। সফল হলে ভবিষ্যতে ঢাকার বড় বাজারগুলোতে উৎপাদকরা সরাসরি ডিম সরবরাহের আলাদা জায়গা নির্ধারণ করতে পারে।
মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা চাই, ভোক্তারা ১১.৮৭ টাকায় প্রতিটি ডিম কিনতে সক্ষম হোক, এবং এজন্য আমরা কাজ করছি। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করছি এবং আশা করছি তারা দোকান বন্ধ না রেখে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন।’
0 Comments