Header Ads Widget

বাঁশখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডঃ ৬ বসতঘর পুড়ে ছাই, আহত ৪

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সর্বস্ব হারালো ছয় পরিবার!


 বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: সর্বস্ব হারালো ছয় পরিবার

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম)– চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি বসতঘরের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত চারজন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দাবি, এই অগ্নিকাণ্ডে তাদের প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ ধ্বংস হয়েছে।

 

বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা ৮ নং ওয়ার্ডের এমদাদ মিয়া পাড়ায় নুর আহমদের বাড়িতে এ মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড ঘটে। স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং আশপাশের ছয়টি বসতঘরকে গ্রাস করে।

আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, পুড়ে যাওয়া সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

 

**ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ**

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনের দাবি, এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তাদের বসতবাড়ি, আসবাবপত্র, মূল্যবান সামগ্রীসহ সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২০ লক্ষাধিক টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরগুলোতে থাকা সঞ্চিত অর্থ, স্বর্ণালংকার ও প্রয়োজনীয় নথিপত্রও সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।

 

**আহতদের অবস্থা ও উদ্ধার কার্যক্রম** 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে আহত চারজনকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক! বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের টিম লিটডার নুরুল বাশার বলেন, 'অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা দিলেও কাছাকাছি গিয়ে সরু রাস্থার কারণে ঘটনা স্থলে প্রবেশ করতে পারিনি। ততক্ষণে স্থানীয়দেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে, আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, তাদের সম্পত্তি ও অন্যান্য জিনিসপত্র রক্ষা করা যায়নি।

 

**স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া** 

স্থানীয়রা দ্রুত রাস্থ সংস্কারের দাবি জানান। যাতে এজাতীয় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে পারে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর একজন বলেন, "আমাদের সবকিছুই পুড়ে গেছে। কিভাবে এই ক্ষতি পূরণ করব, তা আমরা জানি না।" স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

 

**সাহায্যের আবেদন** 

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সরকারি ও বেসরকারি এবং সমাজের বিত্তবানদের নিকট সহায়তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

 অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

Post a Comment

0 Comments